দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা মহামারীতে যখন আইসিইউ নিয়ে হাহাকার, তখন ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তুত দশটি আইসিইউ শয্যা পড়ে আছে অবহেলায়। ঢাকার শিশু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা শয্যাগুলো কেন ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে না সে প্রশ্ন খোদ আইসিইউ প্রধানেরই। হাসপাতাল পরিচালক দিলেন নানা অজুহাত। এদিকে সময় সংবাদের কাছে জেনে বিষয়টি আমলে নেবার আশ্বাস অধিদপ্তরের।
গত বছরের শুরুর দিকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শিশু হাসপাতালের যৌথ অর্থায়নে তৈরি হয় একটি বর্ধিত অংশ। যেখানে রয়েছে একটি অপারেশন থিয়েটার, আট শয্যার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড, চার শয্যার সার্জিকাল আইসিইউ ও ছয় শয্যার এইচডিইউ ইউনিট।
এর মধ্যে ওটি ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের কাজ শেষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে থেমে আছে সার্জিকাল আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিটের কাজ। অথচ আইসিউই শয্যার অভাবে একের পর এক নিভছে কোভিড রোগীদের প্রাণের প্রদীপ। খোদ আইসিইউ প্রধানই জানেন না কি এর রহস্য।
এ প্রসঙ্গে আইসিইউ প্রধান ডা. জহিরুল ইসলাম লিটন বলেন, আমাদের কাছে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য নাই। দেয়াও হচ্ছে না। আমার কাছে কোনো কাগজপত্রও নেই। করোনার সময় যদি আমরা এটা শুরু করতে পারতাম তাহলে কাজে লাগতো।
ছয় মাস ধরেই কাজ বন্ধ, হাসপাতাল পরিচালক সৈয়দ শফি আহমেদ তারপরও দোহাই দিলেন করোনার।
তিনি বলেন, এটা যার করার কথা তার মা করোনায় মারা গেছেন। সে নিজেও অসুস্থ। তাই কাজটি শেষ করতে পারেনি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
দেশে কোভিড চিকিৎসায় বরাদ্দকৃত আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন